কুষ্টিয়া পৌরসভার ভূমিদস্যু বুলবুল ও তার স্ত্রীর নামে আদালতের সমন জারি
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি : মেহেরপুরের কন্ঠ :
কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডের বাবু পাড়ার মাকসুদা খাতুন এর বাসায় ভাড়া নিয়ে উঠে ছলে বলে কৌশলে বাড়িসহ জমি ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়ার পায় তারা করছে তোফাজ্জল হোসেন বুলবুল । এ বিষয়ে আদালতে মামলা করা হলে আদালত তোফাজ্জল হোসেন বুলবুল ও তার স্ত্রী সিদ্দিকা সুলতানা সুপ্তির নামে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এ আদালতের সুমন জারি হয়। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ উপস্থিত থেকে এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। যার মিস আপিল মামলা নাম্বার ০২/২০২৪ । তাদের এই কার্যক্রমে এলাকাসহ দেশবাসী ক্ষুব্ধ। আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাবে বলে মন্তব্য করেছেন ভুক্তভোগী মাকসুদা খাতুন ও তার পরিবার। সেই সাথে ভুক্তভোগীরা জানান যে আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমরা ন্যায়বিচার পাব বলে আশাবাদী । ভুক্তভোগী মাকসুদা খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমার এই জমি জনতা ব্যাংকের কোর্টপাড়া শাখা কুষ্টিয়ায় ২৬ এপ্রিল ২০১৭ সালে মর্গেজ রেখে ২০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম । যার ঋণ হিসাব নং- সিসি ২০১১০০২১০৫ সে ঋণ এখনো বিদ্যমান রয়েছে। জনতা ব্যাংক এ মর্গেজকৃত জমির দলিল কিভাবে তোফাজ্জল হোসেন বুলবুলের নামে রেজিস্ট্রি হয় । ব্যাংক বিষয়টি অবগত হলে পরবর্তীতে তারা আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করে । প্রথমে কুষ্টিয়া জজ কোর্টে মামলা করে জনতা ব্যাংক । সে মামলার রায় ব্যাংকের পক্ষে যায় দলিল বাতিলের নির্দেশ দেয়। সে মামলায় বুলবুল আপিল করলে হাইকোর্ট ও রায় দেয় ব্যাংকের পক্ষে যার নাম্বার ২৪০২/২০২১।
টাকার বিনিময়ে ভুয়াদলিল তৈরি করে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে বাড়ির মালিক সেজে বসে থাকা বুলবুলের মেলা প্রতারণার খবর রয়েছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। হাইকোর্টের আদেশ মানতে নারাজ প্রতারক বুলবুল।সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের রূপ ধারণ করে মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে বলে আমরা পরবর্তীতে জানতে পেরেছি। আমাদের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণা করেছে। তাই আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই এই প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সেই সাথে আমি প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা আমাদের পাশে থেকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।