মেহেরপুরে নির্বাচন পরবর্তী ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা।।স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ

meherpurerkanthomeherpurerkantho
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  06:34 PM, 09 January 2024

মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুরের কন্ঠ :
মেুহেরপুর -১ (সদর ও মুজিবনগর ) আসনের
বিভিন্ন এলাকায় বিজয়ী নৌকা প্রতীকের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নানের কর্মী-সমর্থকদের মারধর, বাড়িঘর  তোলেন তিনি।
, অগ্নিসংযোগ  লুটপাট, ফসল কর্তন, ও মোটরসাইকেলে চড়ে রামদা উঁচিয়ে এলাকায় ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান।
আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে তার নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তোলেন প্রফেসর আব্দুল মান্নান।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট মিয়া জান আলী,  জেলা আওয়ামী লীগের আরেক সহসভাপতি আব্দুল মান্নান ছোট, দপ্তর সম্পাদক মকলেছুর রহমান, জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন সহ নেতাকর্মীরা।
সহ অন্যান্য নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত ১০টার দিকে মুজিবনগর  উপজেলার আনন্দবাস গ্রামে নৌকার প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নানের গ্রুপের দুই পক্ষের সংঘর্ষে স্বতন্ত্র মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে প্রায় ৪৫ জন আহত হন। এসময় বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আনন্দবাস গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ৮ রাউন্ড  ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৪৫ জন আহত হয়ে ছেন।
আহতরা মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
 এছাড়া সদর ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে হামলা, ভাংচুর, ফসল তছরুপসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনার তথ্য তুলে ধরেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, নির্বাচনের পর মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের লালন হোসেনের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে, বারাদী ইউনিয়নের কলাইডাঙ্গা গ্রামের সংরক্ষিত নারী সদস্য বুলবুলি খাতুন ও কুতুবপুর ইউনিয়নের কালিগাংনী গ্রামের সংরক্ষিত নারী সদস্য রহিমা খাতুনকে মারধর করা হয়েছে। এর মধ্যে বুলবুলি খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কালিগাংনী গ্রামের অনেক নেতাকর্মীকে বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে। তেরেঘরিয়া বীল দখল করেছে প্রতিমন্ত্রীর লোকজন। যতারপুর গ্রামের কলা ও পেঁপে ক্ষেত কেটে তছরুপ করা হয়েছে। মুজিবনগর উপজেলার সোনারপুর গ্রামের ছপুর আলীর বাড়িতে হামলা, সদর উপজেলার উজুলপুর গ্রামের মনছুদ্দিনকে মারধর ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর, গোভীপুর গ্রামের আহাছানুর রহমান গোপালের উপর হামলা, আশরাফপুর গ্রামের হায়দার আলী ও নিজাম উদ্দিনসহ ১০/১২ জনের উপর হামলা করা হয়েছে। দক্ষিণ শালিকা গ্রামের ওসাইদ মেম্বরের অফিসে হামলা, রাধাকান্তপুর গ্রামের মেম্বর ইসমাইল হোসেনের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। মেহেরপুর শহরের ৫ নং ওয়ার্ড  আওয়ামী লীগের সভাপতির অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে প্রতিমন্ত্রীর লোকজন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান আরো অভিযোগ করেন, তার পক্ষে ভোট করায় সর্মথকদের উপর এসব হামলা, বাড়িঘর ভাংচুর সহ বিল ও জমি দখল করছে নৌকার সর্মথকরা।
তিনি আরো বলেন, নৌকার প্রার্থী ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিজয়ী হওয়ার পর থেকে আমার সর্মথকদের উপর সহিংসতা সৃষ্টি করছেন।
নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহনের ১৭ মিনিট পর ফলাফল ঘোষনা করানো হয় কয়েকটি কেন্দ্রে। এতে করে ভোট গণনা যথারিতি হয়নি। আমার কাছে মনে হয়েছে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী তার সাজানো ফলাফল ঘোষনা করান।
 সুষ্ঠ, সু্ন্দর, গ্রহনযোগ্য  ও আন্তর্জাতিক মানের যে নির্বাচন হয়। তার চেয়েও ভালো মানের নির্বাচন আমরা করতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু যখন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ভোট গ্রহনের ১৭ মিনিটের মধ্যে ফলাফল ঘোষনা করান তখন কতটা গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হয়েছে এটা আপনারা ভালো বলতে পারবেন। আমরা আওয়ামী লীগের বাইরে কাউকে নিয়ে নির্বাচন করিনি। কিন্তু নৌকার প্রার্থী ফ্রীডম পার্টির নেতা নিয়ে নির্বাচন করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :