সবজী খ্যাত নামে বিখ্যাত মেহেরপুর জেলায় বাড়ছে সর্বনাশা তামাক চাষ

meherpurerkanthomeherpurerkantho
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  10:31 AM, 19 February 2024

এম এ লিংকন : মেহেরপুরের কন্ঠ :
সবজী খ্যাত মেহেরপুর জেলায় হু হু করে বাড়ছে সর্বনাশা তামাক চাষ। তামাক কোম্পানীর নানা প্রলোভনে পড়ে ধান গম ও সবজী চাষ কমিয়ে কম্পানিগুলোর চমক প্রদায়ক লোভণীয় অফারের কারনে তামাক চাষের প্রতি অনুরাগী করে তুলছে চাষিদের। তামাক চাষের ফলে একদিকে জমির উর্ব্বরতা কমছে ঠিত তেমনি তামাকের ধোয়ায় শরীরের মারত্বক ক্ষতি হচ্ছে।
তামাক কম্পানিগুলোর লোভনীয় অফারের কারনে মেহেরপুর জেলায় প্রতিবছর নতুন নতুন এলাকায় সম্প্রসারণ হচ্ছে তামাক চাষ। গত বছর ৯শত একর জমিতে তামাক চাষ হলেও চলতি বছর মেহেরপুর জেলায় ১ হাজারেও বেশি একর জমিতে তামাক চাষ করা হয়েছে।
তামাক চাষের ফলে একদিকে জমির উর্ব্বরতা কমছে ঠিক তেমনি তামাকের ধোয়ায় শরীরের মারত্বক ক্ষতি হচ্ছে। কৃষি বিভাগের উদাসীনতা ও তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রলোভনে বাড়ছে সর্বনাশা তামাক চাষ।
তামাক চাষীরা বলছেন ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো সহ বিভিন্ন কোম্পানীর সারবীজ সহ নানা প্রলোভনে ফাঁদে পড়ে তামাক চাষ করছে। তবে তামাক চাষ শুরু করার পর বাজার থেকে দ্বিগুন মূল্যে সার ক্রয় করতে বাধ্য করছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো। আবার তামাক পোড়ানোর পর বিক্রি করতে গেলে তামাক কোম্পনীর প্রতিনিধির বিশেষ নজর না থাকলে মূল্যে কম দেয়া সহ অনেক সময় তামাক ফেরত পাঠানো হয়।
তবে প্রকৃত চাষীদের কাছে বিশেষ বিশেষ প্রণোদনা নিশ্চিত করা হলে প্রান্তিক চাষিদের শস্য উৎপাদনে আগ্রহী উঠতে পারে। এক সময় জেলার উৎপাদিক সবজি ও খাদ্য পন্য এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করতো কিন্তু তামাক কোম্পানীর আগ্রাসনে কমে গেছে সবজি ও খাদ্য পন্য উৎপাদন। তামাক উৎপাদনকালীন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, ব্যবহারকালীন এবং সর্বশেষ বর্জ্য পর্যন্ত সব পর্যায়ে যেমন জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে একইরকমভাবে পরিবেশের ক্ষতি করছে।
তামাক চাষীরা বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকান কোম্পানী সারবীজ সহ নানা সুবিধা দিয়ে থাকে। এজন্য জমির ক্ষতি হলেও তামাক চাষ করেন তারা। চাষীরা আরো বলেন, তামাকের চেয়ে সবজীতে লাভ বেশি কিন্তু তামাক কোম্পানী যে সুবিধা দেয় কৃষি বিভাগ সে সুবিধা দেয় না। তাই অনেকেই তামাক চাষ করে।
গাংনীর সমাজ উন্নয়ন কর্মী নুরুল ইসলাম রিন্টু  বলেন, তামাকচাষে জমির উর্ব্বরতা কমার পাশাপাশি মানব দেহের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া তামাক কোম্পানীর বিভিন্ন প্রলোভনদিলেও পরে প্রকৃত মূল্যে না দিয়ে কৃষকদের সাথে প্রতারনা করে। এছাড়া তামাক কোম্পানী বেশি দামে সার কিনতে বাধ্য করে চাষীদের।
এবিষয়ে ব্রিটিশ আমেরিকান কোম্পানীর মেহেরপুর ম্যানেজার হাসিব আলীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সাড়া দেননি।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শুপ্রভা রানী বলেন,তামাক সেবন ও ধোয়ায় ক্যান্সার সহ কঠিন ও জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
ইমরান হোসেন গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা : তামাক চাষ গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তবে তামাক চাষ নিরুসাহিত করার জন্য কাজ করছেন তারা।

আপনার মতামত লিখুন :